পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় সরগরম হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে। মানুষের মাঝে এখন শুধু একটাই আলোচনা। চেয়ারম্যান কে হবে? কোন প্রার্থী ভোটে এগিয়ে রয়েছে। বিজয়ের মুকুট কার গলায় ঝুলবে? হাওয়া লেগেছে পেকুয়ার প্রত্যন্ত জনপদে। পেকুয়ায় ভোট যুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছেন তিন হেভিওয়েট প্রার্থী। নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন এক সময়ের রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বর্তমান উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাসেম। জোট সরকারের আমলে একাধিক মামলার আসামী হয়ে দীর্ঘ বছর কারাভোগ করেন তিনি।
আনারস প্রতিক নিয়ে ভোট যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন এস.এম গিয়াস উদ্দিন। তিনি চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক ভিপি। বর্তমান কক্সবাজার জেলা আ’লীগের প্রভাবশালী সদস্য। পেকুয়ায় ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ বলে বেশ পরিচিতি রয়েছে তার। দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে চষে বেড়াচ্ছেন আরেক প্রার্থী তারুন্যের অহংকার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য। তার রয়েছে বিশাল যুব সংগঠন। বিশেষ করে যুবকদের কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয়জন। তার রয়েছে অসংখ্য কর্মী বাহিনী। তিন প্রার্থী কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোট যুদ্ধে। প্রতিদিন পথ সভা, গনসংযোগসহ জনগনের সাথে কুশল বিনিময় করে যাচ্ছে। চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায়। নিজেদের প্রতীকের কথা বলে ভোট প্রার্থনা করছেন।
তবে পেকুয়ায় এবার নৌকা মার্কার গলার কাটা হয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ভোটের হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিচ্ছে তারা। আ’লীগের মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন বিদ্রোহী এ দু’প্রার্থী। গিয়াস উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নৌকা প্রতিকের পক্ষে বৈরী আবহাওয়া বইছে এখন।
শুরুতে বিষয়টি কিছুটা হাল্কাভাবে নিলেও এখন চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অবস্থানও ততোটাই শক্তিশালী ও বেগবান হচ্ছে। আ’লীগের নেতাকর্মীরা আগে থেকে হতাশায় ভুগছিল। পাওয়া না পাওয়াসহ নানা বঞ্চনায় অন্তর জ্বালায় পুড়ছিল নেতাকর্মীরা। এখন আওয়ামীলীগের বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সমর্থনও পাচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
জেলা আ’লীগের সদস্য এস. এম গিয়াস উদ্দিন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে ভোট করছেন। একইভাবে যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম দোয়াত কলম মার্কা নিয়ে নাগরিক কমিটির ব্যানারে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছেন।
জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরাতে নানা কৌশল অবলম্বন করছিল একটি পক্ষ। এনিয়ে কয়েক দফায় তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুুই হয়নি। ওই পক্ষের কথায় কর্ণপাত করেননি বিদ্রোহী প্রার্থীরা । নিজেদের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন তারা।
#######
পেকুয়ায় শিক্ষকদের মানববন্ধন
পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় ১১ তম গ্রেডের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়েছে। উপজেলার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকগন ওই মানব বন্ধন কর্মসুচীতে অংশ নেয়। এ সময় উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ ওই কর্মসুচীতে সংহতি প্রকাশ করে। কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর আওতায় ১৪ মার্চ বিকেলে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়। ১১ তম গ্রেড অন্তর্ভূক্তি দাবীতে ওই দিন সারাদেশে ওই কর্মসুচী পালিত হয়। এর অংশ হিসেবে পেকুয়ায়ও ওই কর্মসুচী পালন হয়েছে। এ সময় উপজেলার প্রত্যেক প্রান্ত থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ওই কর্মসুচীতে একীভূত হন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌমুহনীর দক্ষিন দিকে এবিসি সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্টিত হয়। এ সময় শিক্ষকগন সড়কে অবস্থান নিয়ে দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানান। এ সময় বক্তব্য দেন মাষ্টার হানিফ চৌধুরী, মাস্টার মো: ইদ্রিস, মাষ্টার সেলিমুল হক, শাহাদাত হোসাইন, আজিজুর রহমান, এস,এম শওকত, আমানুল্লাহ, জাহেদুল ইসলাম, দিল মোহাম্মদ, জসিম উদ্দিন, মোরশেদুল আলম, কামরুন সাত্তার প্রমুখ। এ সময় শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানায়, ১১ তম গ্রেডে অন্তর্ভূক্তির দাবীতে আমরা এ কর্মসুচীতে সামিল হয়েছি। সারা দেশে শিক্ষকরা আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ কর্মসুচী আমরা শান্তিপূর্ন ও সহনশীল অবস্থানের মধ্যে পালন করেছি। বর্তমান সরকার শিক্ষকদের স্কেল বৃদ্ধির জন্য আগেই ঘোষনা দিয়েছিলেন। মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহারে ১১ তম গ্রেড অন্তর্ভূক্তির প্রতিশ্রুতি ছিল। আমরা সেটি বাস্তবায়ন চাই।
#######
পেকুয়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম
পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় মোহাম্মদ এমরান (২২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় অজ্ঞান অবস্থায় সড়কের পাশ থেকে তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ১৪ মার্চ বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ভেলুয়ারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত এমরান ওই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন বিকেলে মোহাম্মদ এমরান কাদিমাকাটা বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ভেলুয়ারপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ১০/১২ জনের দুবৃর্ত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় ওই এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে ছোটন, তার ভাই ওয়াহিদ, নেছার আহমদ, শাহাব উদ্দিন ও মৃত নুর আহমদের ছেলে আশরাফ মিয়াসহ উত্তেজিত লোকজন ধারালো কিরিচ, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডসহ তারা পিছুন দিক থেকে যুবক এমরানকে আক্রমন করে। এ সময় প্রাণনাশ উদ্দেশ্যে হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মো: এমরান ধনিয়াকাটা বটতলা বাজারে কীটনাশক ও সারের ব্যবসা করেন। ওই দিন বিকেলে এমরান বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা থেকে তার বোনের বাড়ি থেকে ভেলুয়ারপাড়া নিজ বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। এ সময় ওই দুবৃর্ত্তরা তাকে আক্রমন চালায়। জখমী এমরান রাস্তায় পতিত হন। এ সময় অজ্ঞান অবস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে ধরাধরি করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শী তৌহিদ, বাহার উদ্দিন, আনোয়ার, শফিউল আলম, রুমা আক্তার ও নুরজাহানসহ ভেলুয়ারপাড়ার স্থানীয়রা জানায়, এমরানকে পিছুন দিক থেকে আক্রমন চালানো হয়। তারা পূর্ব থেকে প্রস্তুত ছিল। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার পিছুনে মারাত্মক জখম করে। প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে। সে অচেতন হয়ে যায়। রক্ত বমি হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, আঘাত বড়। আমরা চেষ্টা করছি। অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার দেয়া হবে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
পাঠকের মতামত: